ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং কঠিন নাকি সহজ?

দুনিয়াতে সব থেকে কঠিন কাজ হলো অন্যর পকেট থেকে টাকা খসানো 😑 আর ঠিক এই কাজটাই ইনডিরেক্টলি করতে হয় একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সহজ নাকি কঠিন আশা করি এক লাইনেই বুঝে গেছেন।

আমরা যদি রিসেন্ট জব মার্কেটের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পারবো, এই মুহূর্তে মার্কেটে বড় জব ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। অর্থাৎ বর্তমানে মার্কেটে হিউজ পরিমাণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জব এভেইলেবেল রয়েছে।

NOTE: দুনিয়াতে সব থেকে কঠিন কাজ হলো অন্যর পকেট থেকে টাকা খসানো 😑

পুরো বিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অবিশ্বাস্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিনিয়ত তা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। ইয়াং জেনারেশন থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বয়স্ক সকল পর্যায়ের মানুষ এখন ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করছে। 

২০২১ এর জানুয়ারী  মাসের ডাটা অনুযায়ী বিশ্বের মোট ইন্টারনেট ইউজার ছিলো ৪.৬৬ বিলিয়ন 😮 BTRC এর একটি জরিপ অনুযায়ী ২০২১ এর জানুয়ারী মাসের বাংলাদেশের ইন্টারনেট ইউজার ছিলো ১১২.৭১৩ মিলিয়ন। বিনোদোন থেকে শুরু করে কাজ-কর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রায় প্রয়োজনীয় সব কিছুই এখন ইন্টারনেটে চলে এসেছে। যার ফলে ছোট থেকে বড় সব ধরণেই কোম্পানীই এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এ তাদের কার্যক্রম শুরু করছে, আর এর ফলেই ডিজিটাল মার্কেটিং এ জবের এত চাহিদা তৈরি হয়েছে।

কিন্তু জব মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য স্কিলফুল ডিজিটাল মার্কেটারের সংখ্যা খুবই কম। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার মাধ্যে প্রধান একটি কারণ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই চ্যালেন্জিং একটি পেশা। একজন ডিজিটাল মার্কেটার কে প্রতিটা ক্যাম্পেইন এ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়, রিসার্সের পর রিসার্স, টেস্টিং এর ওপর টেস্টিং করে অবশেষে একটা সাকসেসফুল ক্যাম্পেইন বের করতে আনতে হয়।

এখানে দুঃখের বিষয় এটা যে, কোন পদ্ধতি অবলম্বণ করে একটি ক্যাম্পেইন সফল হবে তা আগে থেকে কেউ ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না, ইভেন যে ক্যাম্পেইন করছে সেও গ্যারান্টি দিতে পারবে না। 

অনান্য এমন হাজারো পেশা রয়েছে যেখানে, একবার কাজ শিখলে বা লেখাপড়া করলে পরবর্তী কর্ম জিবনে আর লেখাপড়া তেমন করতে হয়না, সে তার কাজ ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে করতে পারে। যেমন একজন ইঞ্জিনিয়ার এর কথা চিন্তা করেন, সে জানে কোথায় কি ডিজাইন করলে কেমন বাড়ি হবে, সে তার কাজ ১০০% গ্যারান্টি সহকারে করতে পারবে। আবার একবার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর সে তার কাজে দক্ষ হয়ে গেলে পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করার আর তেমন প্রয়োজন পড়ছে না, কেননা সে কাজটা শিখে গেছে।

এখানেই অনান্য প্রফেশনের সাথে Digital Marketing এর পার্থক্য 😑 ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রতিনিয়ত টুলস, মেথড, টেকনোলজি চেঞ্জ হতে থাকে যার ফলে একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে সব সময়ই শেখার ওপর থাকতে হয় এবং প্রতিটা ক্যাম্পেইনে নতুন নতুন স্ট্রাটেজি এপ্লাই করতে হয়। এতসব করার পরও সে আগে থেকে জানবে না তার কোন স্ট্রাটেজি কাজ করবে, কোনটা দিয়ে সাকসেস আনতে পারবে। 

পোস্টের শুরুটা করেছিলাম ডিজিটাল মার্কেটিং জব মার্কেট অর্থাৎ হায়ারিং নিয়ে, এখন আরো একটা জিনিস জেনে রাখুন ডিজিটাল মার্কেটিং এ যেমন হায়ারিং রেট বেশি আবার একই সাথে ফায়ারিং রেট ও বেশি। আপনি যদি প্রফিট না এনে দিতে পারেন কোন কোম্পানীই আপনাকে ৩-৫ মাসের বেশি রাখবে না।

সবশেষে বলতে চাই Digital Marketing এ চ্যালেঞ্জ যেমন আছে অপরদিকে সুবিধাও আছে। একজন স্কিলড ডিজিটাল মার্কেটারের স্যালারি বর্তমান বাজারে অনেক ভালো পরিমাণ হয়ে থাকে। শুধু তাই ই নয় কোম্পানীর লোয়ার লেভেল থেকে টপ পর্যায়ের লোকজনদের সাথে কাজ করে ডিজিটাল মার্কেটার, এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা আছে যা অন্য কোন প্রফেশনে হয়তো পাবেন না, কেননা স্বর্ণের ডিম পাড়া হাসকে কে না পছন্দ করে, ঠিক তেমনি টাকা এনে দিতে পারলে কোম্পানীর সিইও থেকে ফাউন্ডার সবাই পছন্দ করবে 😉 দুনিয়াতে কোন কাজই সহজ না ডিজিটাল মার্কেটিং তো আরো না, এক মাত্র যারা  প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে, নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসে তাঁদের কাছেই Digital Marketing সহজ হবে এবং তারাই এখানে ভালো করতে পারবে।


NOTE: ডিজিটাল মার্কেটিং এ যেমন হায়ারিং রেট বেশি, তেমন ফায়ারিং রেট ও বেশি😑

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top