ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে?

নতুন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে আসছে বা আসতে চাচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশদেরেই মাঝে একটা কমন প্রশ্ন 🤔 ভাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে? কয়দিনে শিখতে পারবো আমি?

দুনিয়াতে আজব সব প্রশ্ন গুলোর মধ্যে এটি একটি 🙂 তবে এটি অস্বাভাবিক কিছু না, বর্তমানে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর রোল মডেল বা ভালো অবস্থানে আছেন তাঁদেরও প্রথম অবস্থায় অনেকেরেই হয়তো এমন আজব আজব সব প্রশ্ন মাথায় ঘুর পাক খেতো, নতুন অবস্থায় এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।

আপনি যদি একজন ব্যাস্ত মানুষ হয়ে থাকেন, আপনার হাতে যদি এই পুরো পোস্টটি পড়ার সময় না থাকে, তাহলে আপনার জন্য শর্টকাটে উত্তর হলো: ডিজিটাল মাকেটিং শিখতে কতদিন লাগে এর কোন ধারাবাধা সময়সীমা নেই 🙂 তবে একটা অনুমানিক এভারেজ সময় ধরলে ১ বছরের মতো সময় লাগে।

Digital Marketing শিখতে কতদিন সময় লাগে?

আসলে শেখার ক্ষেত্রটা একেক জনের কাছে একেক রকমের হয়ে থাকে। যে ফাস্ট লার্নার সে হয়তো কোন কাজ ৭ দিনে শিখতে পারে। আবার যে স্লো লার্নার তাঁর সেই একই কাজ শিখতে হয়তো ১৪ দিন সময় লাগতে পারে। তাই শেখার বিষয়টাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন ধারাবাধা সূত্র দিয়ে সঙ্গায়িত করা সম্ভব না, ঠিক তেমনটিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তারপরেও চলুন  ওল্ড স্কুল মার্কেটারদের ডাটা অনুযায়ী আমরা একটি এভারেজ হিসেব দেখে আসি।

প্রথম ৬ মাস

ধরা যাক আপনি একজন বিগেনার, কম্পিউটারে আপনার মোটামুটি ব্যসিক ক্লিয়ার আছে এখন আপনি  যদি রেগুলার ৬ মাস ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পিছে সময় ব্যায় করেন, তাহলে ৬ মাস পর আপনি Digital Marketing এর ফান্ডামেন্টাল এবং ব্যাসিক জিনিসগুলো শিখতে পারবেন এবং মার্কেটিং ইন্ডাট্রি সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার কনসেপ্ট পাবেন। এটা হতে পারে কোন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে শেখা বা ইন্টারনেটে কোন পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স বা ফ্রি মার্কেটিং কোর্স দেখে শেখা।

দ্বিতীয় ৬ মাস

পরবর্তী ৬ মাস আপনার শেখা জিনিসগুলো রেগুলার প্রাকটিস করে যেতে হবে এবং বিভিন্ন স্ট্রাটেজি এপ্লাই করতে হবে। এইভাবে টানা ১ বছর লার্নি এবং প্রাকটিস করার পর আপনি নিজেকে একজন জুনিয়র ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন বলে আশা করা যায় । সব থেকে ভালো উপায় হলো প্রথম ৬ মাস শেখার পর পরই কোন প্রতিষ্ঠানে ইর্টানি হিসেবে জয়েন করুন, এতে করে সিনিয়রদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন এবং প্রাকটিক্যালি কিভাবে কাজ হয় তা সম্পর্কে ভালো আইডিয়া পাবেন।

১ বছর পর

ওয়েল এখন আপনি একজন জুনিয়র ডিজিটাল মার্কেটার এরপর আপনার বেশি বেশি কাজ করতে হবে এবং মাল্টিপল নীশে এক্সপিরিয়েন্স গেদার করতে হবে, আপনি যত ভিন্ন ভিন্ন নীশে কাজ করতে পারবেন তত ভালো এক্সপিরিয়েন্স গেদার করতে পারবেন। মাল্টিপল নীশে কাজ করার সব থেকে ভালো সুযোগ থাকে ফ্রিলান্সিং করাতে কেননা এখানে আপনার কাছে বিভিন্ন নীশের ক্লায়েন্ট আসবে। এর থেকেও ভালো উপায় কোন এজেন্সিতে জব করা, কেননা একটা এজেন্সি বিভিন্ন ধরণের ক্লায়েন্ট নিয়ে কাজ করে থাকে।

২ বছর পর

পূর্বের ২ বছর আপনি বিভিন্ন ক্লায়েন্টের এর কাজ করেছেন প্রচুর এক্সপেরিয়েন্স গেদার করেছেন, যার ফলে এখন আপনি নিজেকে একজন মিড লেভেল ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে দাবি করতে পারেন। এর পরের প্রসেস টাও পূর্বের প্রসেস এর মতোই সেম, প্রচুর কাজ করতে হবে এবং একই সাথে লার্নিং প্রসেসও চালু রাখতে হবে।

৩ বছর পর

এই স্টেপে এসে এখন আপনি নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে দাবি করতে পারেন, কেননা গত ৩ বছরে আপনি অনেক কিছু শিখেছেন এবং একই সাথে মাল্টিপল নীশে বিভিন্ন ক্লায়েন্টেকে সার্ভিস প্রদান করেছেন। অনেক মিসটেক করেছেন, মিসটেক থেকে শিখেছেন, যার ফলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ড্রাসটির প্রায় সবকিছুই এক্সপ্লোয়ার করে ফেলেছেন।

তাহলে ওল্ড স্কুল মার্কেটারদের মতে আমরা এই এভারেজ হিসেবটা ধরতে পারি যে, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ১ বছরের মতো সময় লাগে এবং একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হতে প্রায় ৩ বছরের মতো সময় লাগে। 

তবে এই সময়ের মধ্যেই যে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন বা এর থেকে কম সময়ে শিখতে পারবেন না এমন কোন গ্যারান্টি নেই। আপনি যদি ফাস্ট লার্নার হয়ে থাকেন তাহলে এর থেকে অনেক কম সময়ের মধ্যেই শিখে যেতে পারবেন। আবার আপনার মাথায় যদি মার্কেটিং জিনিসটাই না ঢোকে তাহলে ৩ বছরে কেন ৬-৯ বছরেও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে পারবেন না, দুনিয়াতে সব কাজ সবার জন্য না। যাইহোক আমি অনেক আশাবাদী আপনি পারবেন, মন দিয়ে শিখতে থাকুন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top